চুরি করতে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর উপর হামলা

চুরি করতে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর উপর হামলা

র‌্য‌াবের হাতে আটক ইউএনওর উপর হামলাকারী নবিরুল ও সান্টু।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর চুরির উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনো কারণ আছে কি-না তা জানতে সময় লাগবে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় র‌্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।

তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় র‌্যাব শুরু থেকেই এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এঘটনায় আসাদুলকে শুক্রবার ভোরে হিলির কালীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে নবিরুল ও সান্টুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তারা চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় যান বলে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নবিরুল ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথায় আঘাত করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিস্কৃত) জাহাঙ্গীরসহ আরও তিনজনকে আটক করা হলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলাম (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।