পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে মৃত ১১

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে মৃত ১১

ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথক পৃথক ঘটনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মৃত্যু।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামে মালদহে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একইসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মন্ডলের (২১)।

মানিকচকে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক নাবালকসহ এক বৃদ্ধের। হাড্ডাটোলার বাসিন্দা অতুল মন্ডল (৬৫) স্থানীয় আম বাগানে পরিচর্যা ও দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় অতুলের। অন্যদিকে আম কুড়াতে গিয়ে শেখ সাবরুল নামে ১১ বছর বয়সী নাবালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া মৃত্যু হয় ৮ বছর বয়সী রানা শেখেরও।

ওই জেলার গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্র ১৯ বছর বয়সী অসিত সাহার। ঝড়ের সময় অসিত আমবাগানে আম কুড়াছিল বলে জানা যায়।

মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরিয়া এলাকায় পাট ক্ষেতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক দম্পতির। নিহত ওই দম্পতির নাম নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায় (২০)। রতুয়ার উত্তর বালুপুর এলাকায় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ বছর বয়সি সুমিত্রা মন্ডল নামে এক নারীর। গুরুতর আহত হয়েছে তার ছেলে জীবন মন্ডল।

মালদহের ইংরেজবাজারের সুবাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পঙ্কজ মন্ডল নামে ২৮ বছর বয়সের যুবক ও ৩৯ বছর বয়সী সুইতারা বিবির মৃত্যু হয়েছে এই বজ্রপাতে। একই কারণে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইংরেজবাজারের বুধিয়ায় ফাতেমা বিবি এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুলু মন্ডল।

মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই মৃত ১১ জনকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজে আনা হয়েছে। মৃতদের পরিবার প্রতি আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য সবরকম সরকারি সাহায্য প্রদান করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন জেলাশাসক।