আল্লাহর আজাব থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

আল্লাহর আজাব থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলা পরম করুণাময়। যেহেতু তিনি অতিশয় মেহেরবান ও দয়াময়, তাই তিনি তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রয়োগ করেন না। বরং অবকাশ দেন। বারবার সুযোগ দেন। কিন্তু মানুষের পাপ যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তাঁর শাস্তি নাজিল হয়। আর আল্লাহ তাআলা কোনো জাতিকে আজাব দিলে ভালো-খারাপ সবাই ওই আজাবের শিকার হন। এজন্যই আল্লাহ বলেন- ‘এমন আজাবকে ভয় করো, যা এসে গেলে শুধু জালেমদের পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)

আল্লাহর আজাব থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য পবিত্র কোরআনে একটি দোয়ার শিক্ষা রয়েছে। যে দোয়াটি রাসুলুল্লাহ (স.) আল্লাহর আজাব নাজিলের আশংকায় করেছিলেন।

দোয়াটি হলো— رَبِّ اِمَّا تُرِیَنِّیۡ مَا یُوۡعَدُوۡنَ رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِیۡ فِی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ উচ্চারণ: ‘রাব্বি ইম্মা তুরিয়ান্নি মা ইউআদূনা রাব্বি ফালা তাজআলনী ফী ক্বাওমাজ জ্ব-লিমীন।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! যে শাস্তির বিষয়ে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হচ্ছে তা যদি আপনি আমাকে দেখাতে চান, তবে হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৩-৯৪)

অর্থাৎ সে ভয়াবহ আজাব যদি আমার জীবদ্দশায় অবতীর্ণ হয় তবে আমাকে সে আজাব থেকে নিরাপদ রাখবেন। যদিও আল্লাহর রাসুল (স.) শাস্তির অন্তর্ভুক্ত কখনো হবেন না; তবুও তিনি অতিশয় বিনয়াবনত হয়ে দোয়াটি করেছিলেন।

এতে আমাদের জন্য শিক্ষা হলো- আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে ভয় করা এবং দোয়াটির মাধ্যমে আল্লাহর আজাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

উল্লেখ্য, আল্লাহর আজাব নাজিল হলে ওই আজাবে সৎ-অসৎ সবাই শিকার হওয়া আল্লাহর এখতিয়ারাধীন বিষয়। এতে আল্লাহর বিশেষ হেকমত রয়েছে। আলেমদের মতে, পাপী বান্দারা দুনিয়ার আজাবের পাশাপাশি আখেরাতের শাস্তিও পাবে। কিন্তু আজাবের শিকার হওয়া নেক বান্দাদের আখেরাতের কঠিন শাস্তি লাঘব হবে; সওয়াবও লাভ করবে। (তাফসির: সুরা মুমিনুন: ৯৩-৯৪)