বিভিন্ন দাবিতে অর্থমন্ত্রীর নিকট রংপুর বিড়ি মালিক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

বিভিন্ন দাবিতে অর্থমন্ত্রীর নিকট রংপুর বিড়ি মালিক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

ফাইল ছবি

রংপুর বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি আসন্ন বাজেটে প্রাক্কালে বিড়ি শিল্প রক্ষা এবং জাল ব্যান্ডরোল রোধ, নকল বিড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর নিকট দাবী দাওয়া উপস্থাপন করেন।

তাঁরা উল্লেখ করেছেন, প্রকৃত বিড়ি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার। এদের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টি বিড়ি ফ্যাক্টরির সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ২৫ শলকা বিড়ির প্যাকেট মুল্য ১৮ টাকা বিক্রি করে। বৃহত্তর রংপুর বিভাগে ৭ থেকে ৮ শত বিড়ি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে হাতেগোনা ৪ থেকে ৫ টা ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠান ১৮ টাকা মূল্যে বিক্রি করে। দেশব্যাপী খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে  ৫ টাকা,৭ টাকা ১০ টাকা প্রতি প্যাকেট বিড়ি বিক্রি করে আসছে। এতে করে প্রতিষ্ঠিত বিড়ি ফ্যাক্টরির গুলো বন্ধের উপক্রম হয়ে আসছে। পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এর পিছনে মূল কারণ হচ্ছে প্রতিটি জেলায় কাস্টমস এন্ড ভ্যাট বিভাগের লোকবল স্বল্পতা। যার কারনে উপরোক্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। প্রতি জেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মনিটরিং সেল গঠন অভিযান পরিচালনা করলে এই ধরনের অনিয়ম অনেকটা দূর করা সম্ভব।তাহা ছাড়া হাটবাজারে  গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে আইনি মূলক জনসচেতনতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এতে করে  অনিয়ম মাত্রা কমে আসবে।

উল্লেখ্য, ১ পিচ ব্যান্ডরোল মুল্য অগ্রিম আয়কর ও স্বাস্থ্য খাত সহ মোট মূল্য ৯ টাকা ৯ পয়সা। তাহলে ২৫  শলাকার ১ প্যাকেট বিড়ির মূল্য ৫টাকা বা ১০ টাকায় কিভাবে বিক্রি করে আসছে।

দেশে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার বিড়ি ফ্যাক্টরি মধ্যে ২৫ টি বিড়ি ফ্যাক্টরির ২০২১- ২০২২ অর্থবছরে ১০৪৬.৯৮ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করলে একটা জিনিস পরিষ্কার হয় যে তারা কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অর্থাৎ ২৫ টি বিড়ি কোম্পানি যদি ১০৪৬.৯৮ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে এক বছরে । তাহলে প্রায় ৫ হাজার বিড়ির ফ্যাক্টরি বছরে কত টাকা রাজস্ব আসে তা কল্পনার অতীত। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কারণে সরকার হারাচ্ছে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব।

এর থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিড়ি উৎপাদনের ব্যবহৃত বিড়ি পেপারের দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আফিল পেপার মিলস ও বসুন্ধরা পেপারস মিলস। ব্যান্ড রোলের পরিবর্তে বিড়ি ট্যারিফ মূল্যের সম্পূরক ও মূষক কর বিধি পেপারের উপর ধার্য করলে পাঁচ টাকা হইতে ১০ টাকা মূল্যের বিড়ি প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারের নির্ধারিত মূল্য ১৮ টাকার নিচে প্রতি প্যাকেট বিড়ি বিক্রয় করিতে পারবেনা এবং জাল ব্যান্ড রোল করতে পারবে না।

অপরদিকে বিড়ি শিল্পের উপর নুতন করে বৃদ্ধি না করে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে

রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। উপরোক্ত উদ্যোগ নেয়া হলে বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।

আগামী বাজেটে বিড়ির মূল্য ১৮ টাকার পরিবর্তে ১৬ টাকা করা এবং ব্যান্ড রোলের পরিবর্তে বিড়ি তৈরির কাগজের উপর সরকারের নির্ধারিত সম্পূরক ও মূশক কর ধার্য করার কৌশল অবলম্বন করা । পাশাপাশি বিড়ি সিগারেটের অগ্রিম আয় করের বৈষম্য দূর করা।

উল্লেখ্য, আদি কালের এই বিড়ি শিল্পে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহে নিয়োজিত রয়েছে।