রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনাল বিচারিক আদালত। আসামির নাম মো. মোজাম্মেল হক (৪০)। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রায় দেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনাল বিচারিক ও জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন। 

এসময় তিনি আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারান্ডের পাশাপাশি অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানার দণ্ড প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার এলাকার পুরানবস্তি পাড়ায় ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছরের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী। আসামি মো. মোজাম্মেল হক কৌশলে শিশুটিকে নিজ ঘরে ডেকে বন্দী করে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সাথে আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা করে। ২০১৯ সালে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নেয়। 

রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি এ রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিকে নব্বই দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তকে জরিমানার অর্থ জমা দানের নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে। আসামি যদি এ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৬ ধারার বিধান অনুসারে আসামীর মালিকাধীন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও নিলাম করে সে অর্থ ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে। 

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আহমেদ অসন্তোষ প্রকাশ করে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করার কথা জানান।