উপজেলা নির্বাচন: সেন্টমার্টিনে ভোটগ্রহণ স্থগিত

উপজেলা নির্বাচন: সেন্টমার্টিনে ভোটগ্রহণ স্থগিত

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া ও রামুতে বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার আগেই স্ব স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

কিন্তু সদ্য বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্ভূক্ত সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও দায়িত্বপ্রাপ্তরা পৌঁছাতে পারেননি।

ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে উপজেলার স্থলভাগের বাকি পাঁচ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ চলবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী সরঞ্জাম ও দায়িত্বপ্রাপ্তরা বৈরী আবহাওয়াতে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি। তাই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত করা ছাড়া বিকল্প ছিল না।’

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৮৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সরঞ্জামসহ সংশ্লিষ্টরা সন্ধ্যানাগাদ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার দায়িত্ব পালন করছেন, সঙ্গে বিজিবি, র‌্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে থাকবে। শেষমুহূর্তে সেন্টমার্টিনে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছাতে না পারায় সেখানকার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি পদের বিপরীতে ৩ জন করে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯২ হাজার ৭৫ জন ও নারী ভোটার ৮৮ হাজার ৭২৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৬০টি।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ।