হজের কোরবানি করার সামর্থ্য না থাকলে করণীয় কী

হজের কোরবানি করার সামর্থ্য না থাকলে করণীয় কী

ছবি: সংগৃহীত

হজের অন্যতম আমল হলো কোরবানি তথা পশু জবাই করা। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি ওমরাসহ হজ পালন করবে, তবে যে পশু সহজ হয়, তা জবাই করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)

তাই কিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীদের ওপর তা পালন করা ওয়াজিব। যেহেতু তারা একই সফরে ওমরাসহ হজ পালন করে থাকেন। ইফরাদ হজ আদায়কারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, তবে করলে ভালো। (মানাসিকে মোল্লা আলি কারি, পৃষ্ঠা-৪৭৮)

তামাত্তু ও কিরান হজকারীর যদি এই কোরবানি করার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে তাকে কোরবানির পরিবর্তে ১০টি রোজা রাখতে হবে। ১০ তারিখের আগে তিনটি রোজা রাখতে হবে, বাকি সাতটি হজ থেকে পরিপূর্ণরূপে অবসর হয়ে সুযোগমতো যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থানে রাখতে পারবে। (সুরা বাকারা: ১৯৬)

আর ১০ তারিখের আগে যদি তিনটি রোজা না রাখা হয় তাহলে কোরবানি করাই নির্ধারিত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ১০ তারিখ কোরবানির কোনো ব্যবস্থা না হলে কোরবানি না করেই সে হলক করে হালাল হয়ে যাবে। এরপর যখন সক্ষম হবে তখন হারামের সীমানার মধ্যে দুটি পশু জবাই করতে হবে। একটি হজের কোরবানির জন্য, আরেকটি কোরবানি না করে হালাল হওয়ার দম হিসেবে। (মানাসিক, পৃষ্ঠা-২৬৫, ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/২৬৪)

প্রসঙ্গত, হাজিদের জন্য কোরবানির সময় শুরু হয় ১০ তারিখ বড় শয়তানকে পাথর মারার পর থেকে। কোরবানির পশু জবাই হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল হলক করে হালাল হতে পারবে, কোরবানির পূর্বে হলক করে ফেললে কাফফারাস্বরূপ আরেকটি পশু জবাই করতে হবে। (মানাসিক, পৃষ্ঠা-২৬৩)

হজের কোরবানির পশু ও কাফফারা তথা জরিমানার পশু হারামের সীমার মধ্যে জবাই করা আবশ্যক। হারামের বাইরে জবাই করলে কোরবানি ও কাফফারা কোনোটাই আদায় হবে না। হারামের যেকোনো স্থানেই কোরবানি করা যায়। মিনায় কোরবানি করা জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার: ২/৫৩২)

হজের কোরবানির গোশতের বিধান ঈদুল আজহার কোরবানির গোশতের মতোই। নিজেও খেতে পারবে, অন্যকেও খাওয়াতে পারবে, দান-সদকাও করতে পারবে, জমিয়েও রাখতে পারবে। তবে জরিমানাস্বরূপ যে দম দেওয়া হয় তার গোশত নিজেরা খাওয়া যাবে না, বরং দরিদ্রদের সদকা করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার: ৩/৬৩৬)