সুপার ওভারের নাটকীয়তায় ওমানকে হারাল নামিবিয়া

সুপার ওভারের নাটকীয়তায় ওমানকে হারাল নামিবিয়া

ছবি:সংগৃহীত

ম্যাচটা আইসিসির দুই সহযোগী দলের। তাই বিশ্বকাপের ম্যাচ হলেও ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে এ নিয়ে খুব একটা কৌতূহল থাকার কথা না। এরপর ওমান মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে যাওয়ায় ম্যাচের জৌলস আরও হারায়। অথচ এই ম্যাচেই নাকি জমজমাট রোমাঞ্চের দেখা মিলল।

আগুনে বোলিংয়ে নামিবিয়াকে একই সমীকরণে ওমান আটকে দিলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচটি। যা কিনা টি-টোয়েন্টি বিশ্বমঞ্চের গত চার আসরে দেখাই যায়নি। তবে সুপার ওভারে এসে লড়াইটা ফের জমিয়ে তুলতে পারেনি ওমান। নামিবিয়ার ২১ রানের জবাবে ১০ রানেই থেমেছে তারা। এতে নাটকীয়তা শেষে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে নামিবিয়ানরা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় নামিবিয়া। বিলাল খানের অ্যারাউন্ড অফের পিচড আপ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাইকেল ভন লিঙ্গেন।

এরপর ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নিকোলাস ডেভিন এবং জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক। তবে তাদের ধীরগতির জুটিতে আঘাত হানেন স্পিনার আকিব ইলিয়াস। তার আউটসাইড অফের ডেলিভারিতে লং অফে নাদিমের হাতে ধরা পড়েন ৩১ বলে ২৪ করা ডেভিন।

এরপর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ফেরেন ইরাসমাস। ফেরার আগে ১ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান

ব্যাট হাতে নেমে টি-টোয়েন্টি সুলভ মেজাজে খেলতে পারেননি জেজে স্মিতও। ১২ বলে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।

শেষ দিকে ৩ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল নামিবিয়ার। তবে ১৮তম ওভারে মেহরান খানের চমকপ্রদ বোলিংয়ে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা।

এরপর ১৯তম ওভারে বিলাল খানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণ সহজ করেন ডেভিড ভিসা। কিন্তু শেষ ওভারে ফের বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহরান। তার আঁটসাঁট বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৫ রান তুলতে পারেনি নামিবিয়া। উল্টো ফ্রাইলিঙ্ক আর গ্রিনের উইকেট তুলে নেন এই পেসার। আর শেষ বলে ২ রান না নিতে পারার নাটকীয়তায় সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।

সুপার ওভারে ভিসার এক ছক্কা ও এক চার এবং ইরাসমাসের জোড়া বাউন্ডারিতে ২১ রানের পুঁজি পায় নামিবিয়া। জবাবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম তিন বলেই ওমানের সম্ভাবনা ফীকে করে দেন ভিসা। শেষ পর্যন্ত শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ১০ রান তুলতে পেরেছিল ওমান।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ওমান। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ বলে ৩৪ রান করেন খালিদ কাইল। এ ছাড়া জিসান মাকসুদ ২২, আইয়ান খান ১৫ এবং শাকিল আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পারেননি।

অন্যদিকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ট্রাম্পলম্যান। এ ছাড়া তিনটি উইকেট নেন ভিসা।

ওমান : ১৯.৪ ওভারে ১০৯ (প্রজাপতি ০, খুশি ৬, ইলিয়াস ০, মাকসুদ ২২, কাইল ৩৪, আইয়ান ১৫, নাদিম ৬, মেহরান ৭, শাকিল ১১, কলিমউল্লাহ ২, বিলাল ১; ট্রাম্পেলমান ৪-০-২১-৪, ভিসা ৩.৪-০-২৮-৩, লুঙ্গামেনি ৪-০-১৮-০, শোলাৎজ ৪-০-২০-১, ইরাসমাস ৪-০-২০-২)।

নামিবিয়া : ২০ ওভারে ১০৯ / ৬ (লিনগেন ০, ডাভিন ২৪, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫, ইরাসমাস ১৩, স্মিট ৮, ভিসা ৯ *, গ্রিন ০, ক্রুগার ১ *; বিলাল ৪-০-২৫-১, শাকিল ৩-০-২০-০, কলিমউল্লাহ ২-০-১০-০, ইলিয়াস ৪-১-১৭-১, মেহরান ৩-১-৭-৩, মাকসুদ ২-০-১২-০)।

ফল : ম্যাচ টাই; সুপার ওভারে নামিবিয়া জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ডেভিড ভিসা