প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে ৭৭ রানেই শেষ লঙ্কানরা

প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে ৭৭ রানেই শেষ লঙ্কানরা

সংগৃহীত

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে এই ম্যাচেই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই উইকেটে দেখা মিলেছে বাড়তি বাউন্সের। প্রোটিয়া পেসারদের তেঁতে উঠতে আর কী লাগে! বিশেষ করে আনরিখ নরকিয়ার তাণ্ডবে ১০০ রানও করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। গতি ও বাউন্সের মিশেলে লঙ্কান ব্যাটারদের নাজেহাল করে ছাড়েন এই ডানহাতি পেসার। তার আগুনে ঝরা বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

সোমবার (৩ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রোটয়াদের বোলিং তোপে ১৯ ওভার ১ বলে ৭৬ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৩ রানে ৮ বলে ৩ রান করে আউট হন নিশাঙ্কা। তার বিদায়ের পর কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৩১ রানে ১৫ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কামিন্দু। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

কুশল ৩০ বলে ১৯ রান ও চারিথ আসালাঙ্কা ৯ বলে ৬ রান করেন। আর অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ও সাদিরা সামাবিক্রমা রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ বলে ১৬ রান করেন ম্যাথুস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ১ বলে ৭৬ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এনরিখ নরকিয়া নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও কেশভ মহারাজ নেন ২টি করে উইকেট।