নেত্রকোনা হাসপাতালে খোলা স্থানেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা

নেত্রকোনা হাসপাতালে খোলা স্থানেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা

ছবি:সংগৃহীত

নেত্রকোনায় হাসপাতাল চত্বরের খোলা স্থানেই ফেলা হচ্ছে বজ্য আবর্জনা। নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকার অযুহাতে কর্মচারীরা ফেলে যান সব ধরনের বজ্য। মর্গে যাওয়ার একমাত্র পথ এখন ডাস্টবিনে পরিণত হলেও দেখার কেউ নেই। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে স্থাপিত হওয়া নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালটি মর্গের পাশেই করা হয়েছিলো একটি ডাস্টবিন। কিন্তু সেটিতে এখন গাছপালা গজিয়ে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল করা হয়েছে ২০১৮ সালে। এখন চলছে আড়াইশ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ। হাসপাতালের ৭ একর ১৩ শতাংশ জায়গার ভেতরেই ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরনো বিল্ডিংয়ে চলছে মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসও। অথচ হাসপাতালের বজ্য বা আবর্জনা ফেলার জন্য নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। হাসপাতাল চত্বরেই খোলা স্থানে ফেলা বজ্যসহ সকল আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে বাতাস। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

মর্গে যাওয়ার পথ যেন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। কলমাকান্দা থেকে লাশ নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালক মানিক মিয়া বলেন, লাশ নিতে গিয়ে পায়ে বিধে সুঁচ কাচিসহ ধারালো ধাতব। এরপর দুর্গন্ধে মুখ বন্ধ করেও চলা যায় না।

জেলা স্বাস্থ্য ফোরামের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, তারা প্রতিনিয়ত অপরিছন্ন পরিবেশসহ নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেও কোনো বদল দেখছেন না। প্রতিটি ছোট বড় প্রতিষ্ঠানেই ময়লা জমানোর জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক থাকলেও এই হাসপাাতলের ভিন্ন চিত্র উল্লেখ করে বলেন, হাসপাতালটিতে আরএমও তত্বাবধায়ক- তারা করেন কি এটাই বুঝি না। 

শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্যরক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. নাজমুল কবীর সরকার বলেন, বছরের পর বছর হাসপাতালের এমন অবস্থায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এগুলো গাড়িতে সরিয়ে ফেলা বা পুড়িয়ে ফেলার কথা থাকলেও কিছুই করা হচ্ছে না দেখছি। এটি একটি বিষফোঁড়া হয়ে গেছে আমাদের জন্য। নুন্যতম দায়বোধ নেই কর্তৃপক্ষের। 

তত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আলাদা কোনো জায়গা নেই। এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গত সপ্তাহে পৌরসভার ময়লার গাড়ি আসেনি তাই জমে গেছে। কিন্তু খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা ঠিক না বললেও পুরনো ডাস্টবিনের কথা তিনি স্বীকার করেননি।