শর্তসাপেক্ষে খুলেছে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র

শর্তসাপেক্ষে খুলেছে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ শুক্রবার শর্তসাপেক্ষ খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

বন্যার কারণে গত ৩০ মে থেকে সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, শ্রীপুর, জাফলং পান্থুমাই, মায়াবী ঝর্ণাসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হলেও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নৌ চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বোট মালিক, নৌ চালক ও মাঝিদের।

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানির স্রোত ও গভীরতা বেশি থাকায় সাঁতার না জানা এবং যাদের বয়স ১২ বছরের কম তাদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, এখনো নদীর স্রোত বেশি। বিশেষ করে গোয়াইঘাট উপজেলার জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এখনো অনেক বেশি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরের যেসব জায়গায় পর্যটকরা বিচরণ করতেন সেসব জায়গার অনেকাংশ এখনো পানির নিচে।

ফলে ভরা বর্ষা মৌসুমে শিশুদের নিয়ে আসার জন্য পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। যে কারণে পর্যটক উপস্থিতি এখনো তুলনামূলক কম।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বন্যার কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে শর্তসাপেক্ষে সেগুলো চালু করা হয়েছে।

আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকা ঘাট থেকে ছাড়া যাবে না, পর্যটকরা পানিতে নামা থেকে বিরত থাকবেন, বাচ্চাদের সঙ্গে না আনাসহ বিভিন্ন শর্তে পর্যটনকেন্দ্রগুলো শুক্রবার খুলে দেওয়া হয়েছে