হাটে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

হাটে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু

ছবিঃ সংগৃহীত।

ঝালকাঠিতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু রয়েছে। জেলায় কোরবানি যোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ৩১ হাজার ১১৪টি, যা প্রয়োজনের চেয়ে এক হাজার ৯৫টি বেশি।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের জেলা কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, জেলায় ষাঁড় ২১ হাজার ৭১৫টি, বলদ চার হাজার ২৫৬টি, গাভি এক হাজার ৪৮৩টি, মহিষ ৪৩টি, ছাগল তিন হাজার ৫৮১ ও ভেড়া ৩৬টি। জেলায় খামারের সংখ্যা দুই হাজার ৮৪টি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৩১৪টি ষাঁড়, এক হাজার ২৫০টি বলদ, ৫৯৬ টি গাভি ও এক হাজার ৫৬ টি ছাগল রয়েছে। এ উপজেলায় চাহিদা ৮ হাজার ৫৯৭টি। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে ৬১৯টি বিভিন্ন ধরনের পশু। নলছিটি উপজেলায় ৬ হাজার ২৯০টি ষাঁড়, এক হাজার ১৭০টি বলদ, ২৪২টি গাভি, ২৫টি মহিষ, ৯৬০টি ছাগল ও ২০টি ভেড়া রয়েছে। এ উপজেলায় প্রয়োজনের চেয়ে ৮৭টি বেশি কোরবানির পশু রয়েছে। রাজাপুর উপজেলায় পাঁচ হাজার ৮৯টি ষাঁড়, এক হাজার ৬৪২ বলদ, ৩৯৭টি গাভি, ৮টি মহিষ, ৮৮৯টি ছাগল ও ৪টি ভেড়া রয়েছে। এখানে বেশি রয়েছে ২৫৭টি। কাঁঠালিয়া উপজেলায় চার হাজার ৪২টি ষাঁড়, ১৯৪টি বলদ, ২৪৮টি গাভি, ১০টি মহিষ, ৬৭৬টি ছাগল ও ১২টি ভেড়া রয়েছে। বেশি রয়েছে ১৩২টি বিভিন্ন ধরনের পশু।

কামাল শরীফ নামের এক খামারি জানান, বাণিজ্যিকভাবে গরুর খামার করেছি। মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণে ষাঁড় ও গাভি পালন করছি। দেশীয় পদ্ধতিতে সুষম খাবার তৈরি করে মোটাতাজা করা হচ্ছে। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক খাবার মেশানো হচ্ছে না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার হোসেন জানান, নিজেদের পালিত পশু দিয়ে এ বছর জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। খামারিদের প্রাকৃতিকভাবে পশু লালন-পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।