যুক্তরাষ্ট্র বাড়াতে পারে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন

যুক্তরাষ্ট্র বাড়াতে পারে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন

ফাইল ছবি।

রাশিয়া, চীন ও অন্যান্য প্রতিপক্ষের থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি রোধে আরও বেশি সংখ্যক কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৭ ‍জুন) যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা প্রণয় ভাদ্দি এই তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে অস্ত্রাগার সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় চীন ও রাশিয়ার উপর আরও কার্যকর চাপ প্রয়োগে নতুন নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে বক্তৃব্য দেন প্রণয় ভাদ্দি। সেখানেই তিনি জানান যে মার্কিন প্রশাসন আরও বেশি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে। 

তিনি বলেন, আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের অস্ত্রাগারে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তাই আমরা নিজেরাই আগামী বছরগুলোতে নিজেদের অস্ত্র মোতায়েনে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন বোধ করেছি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তা কার্যকর করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে। 

যদি আমরা এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করি, তাহলে বুঝতে হবে যে ‘শত্রুদের’ ঠেকাতে ও মার্কিন জনগণের জনগণ, মিত্র ও অংশীদারদের রক্ষা করার জন্য আমাদের আরও পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন। রাশিয়ার সঙ্গে ২০১০ সালে সম্পাদিত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে।

যদিও যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে গত বছর এই চুক্তি থেকে রাশিয়া নিজেদের সরিয়ে নেয়। মস্কোর এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। 

প্রণয় ভাদ্দির এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছিলেন, রাশিয়া ও চীনের অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। সেসময় তিনি দেশ দুটিকে কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। 

প্রণয় ভাদ্দি বলেন, আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া ভয়ঙ্কর গতিতে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার বিস্তৃত করে চলেছে। তাছাড়া দেশ তিনটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণেও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। 

তার দাবি, এই তিন দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়াচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে তাদের এসব কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে।