গাবতলীতে গরুর দাম শুনে হতাশ ক্রেতারা

গাবতলীতে গরুর দাম শুনে হতাশ ক্রেতারা

ছবি:সংগৃহীত

রাজধানীর গাবতলীর হাটে গরুর সমাগম বেশি। তাই ক্রেতাও বেশি। কিন্তু পর্যাপ্ত গরু ও ক্রেতা থাকার পরও বিক্রি তেমন নেই। এর কারণ হলো, ক্রেতার আর্থিক অবস্থার চেয়েও গরুর আকার বড়!

গাবতলীর হাটে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা। এমন অবস্থায় বিক্রি নিয়ে চিন্তায় বিক্রেতারাও। গাবতলীর হাটে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও গত বারের তুলনায় এবার দাম বেশি হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা।

মহাখালী থেকে গাবতলীর হাটে গরু কিনতে আসা এক ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু কিনতে পারেননি। কারণ, তার সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দমতো গরু নেই হাটে।

তিনি বলেন, এবার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় একটু কমের মধ্যে গরু কিনতে এসেছি। কিন্তু হাটে বেশিরভাগই অনেক বড় আকারের গরু। বাজেট কম থাকায় এখনো গরু কিনতে পারিনি। গতবারের চেয়ে এবার গরুর দামটাও বেশি চাওয়া হচ্ছে। তাই কেনা হচ্ছে না।’

এবার অনেকেই কোরবানির জন্য গতবারের চেয়ে বেশি খরচ করতে চান না। কোরবানিতে বাজেট কম তাদের।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাবতলীর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে গরু আছে, ক্রেতাও আছে; কিন্তু বিক্রি নেই!

মোহাম্মদপুর থেকে হাটে এসেছেন সোলায়মান হোসেন। তিনি মাঝারি আকারের গরু খুঁজে হয়রান, কিন্তু সামর্থ্য অনুযায়ী গরু পারেননি। তিনি বলেন, ‘এবার গরুর ব্যাপারীরা দাম বেশি চাচ্ছে। গতবারের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। ব্যাপারীরা গরুর দাম ধরে রেখেছে, কমাচ্ছে না।’

মাঝারি আকারের এসব গরুর দাম এবার দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে।

ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় অনেকটা হতাশ বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, বড় আকারের গরুর দাম জিজ্ঞেস করেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন, কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাবতলী হাটে যেসব গরু বেশি বিক্রি হয়েছে, সেসব গরুর দাম এক থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে ছিল বলে হাট পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। দুপুর পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাড়ে চার লাখ টাকা দামের গরু এই হাটে বিক্রি হয়েছে।