গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে

গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে

সংগৃহীত

নদীবিধৌত গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়াসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

বুধবার (১৯ জুন) গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ১২০, ঘাঘট ১৭৭ ও করতোয়ার পানি ২৬৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এই কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা শাহীনুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইতোমধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থান প্লাবিত হয়েছে। একইসাথে সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘর-বাড়িতে পানি জমেছে। এছাড়া নদীভাঙনের চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাকিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিচু এলাকার বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানিবৃদ্ধির কারণে কামারজানি, কাপাসিয়া, এরেন্ডাবাড়ী, ঘাগোয়া, হরিপুর, ফজলুপুর ও তারাপুর এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে।

খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক মিয়া জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পানিবন্দী মানুষেরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট, ও আবাসনের অভাব।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ইতোমধ্যে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে নদীভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, প্লাবিত এলাকাগুলো খতিয়ে দেখে ভুক্তভোগী মানুষদের সহযোগিতা করা হবে।