মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা জাতিসংঘে তুলল বাংলাদেশ

মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা জাতিসংঘে তুলল বাংলাদেশ

সংগৃহীত

কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা জাতিসংঘে তুলল ঢাকা। দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশের সম্পদ ও নাগরিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে ঢাকার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নানা সীমাবদ্ধতার পরেও বাংলাদেশ গত সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান।

জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের জন্য তাদের জীবিকার ব্যবস্থা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান সঞ্চিতা হক। মিয়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি।

সংলাপের শুরুতে কাউন্সিলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ ও রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।