জামিন স্থগিত, মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরিওয়াল

জামিন স্থগিত, মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরিওয়াল

অরবিন্দ কেজরিওয়াল

এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আবেদনে সাড়া দিয়ে তার জামিনে মুক্তি স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

শুক্রবার (২১ জুন) জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার বেঞ্চ এই রায় দেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় এই বেঞ্চ। অর্থাৎ ততদিন পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকতে হবে আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার (২১ জুন) দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

ইডির আবেদন মেনে স্থগিতাদেশ না দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছিল, হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তিহার জেলে বন্দি কেজরিওয়াল মুক্তি পাবেন না।

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরেই শুরু হয় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি। ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু জানান, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলো যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের।

তার অভিযোগ, সেই নথিগুলো পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে।

অন্যদিকে, কেজরিওয়ালের আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তার মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

উল্লেখ্য, আবগারি (মদ) দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিনি এখন দিল্লির তিহার কারাগারে আছেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাকে তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত। তারপর ২ জুন আদালতের নির্দেশ মেনে আবার তিহার জেলে ফিরে গিয়েছেন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দেয়।