কলমাকান্দায় বাজার ইজারা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

কলমাকান্দায় বাজার ইজারা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রতিকী ছবি

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার দুটি উল্লেখযোগ্য বাজারের ইজারা (খাস কালেকশান) ডাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে সদ্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী গ্রুপ ও পরাজিত গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েক জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকীদের কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (২২ শে জুন) দুপুরে উপজেলার কলমাকান্দা শহরে উভয় পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  শনিবার দুপুরে কলমাকান্দা বাজারের খাস ইজারা সংক্রান্ত ডাক অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন  ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আঘাত করে। এতে মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন ও  উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই  আব্দুল ওয়াদুদ রতনসহ উভয়ের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বাজারে  পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে গুরুতর আহত চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, কলমাকান্দা বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ বিষয়ে অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য: গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল কুদ্দুছ বাবুল ও মোস্তাফিজুর রহমান চয়নের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে এমপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ বাবুল জয়ী হয়। নির্বাচনে দ্বিতীয় হন মোস্তাফিজ রহমান চয়ন। চয়ন স্থানীয়  এমপি মোশতাক আহমেদ রুহীর আপন চাচাতো ভাই।