লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি: সংগৃহীত

লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি জাহাজে নতুন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করে হামলার দাবি জানিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। দেশটির এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এই দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার লোহিত সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি কন্টেইনার জাহাজে ইয়েমেনি সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় নতুন ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দূরত্ব থেকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন ও ইয়েমেনি জনগণকে ব্রিটিশ-মার্কিন আগ্রাসন থেকে রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার জবাবে ইয়েমেনি সৈন্যরা ওই হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে গত নভেম্বর থেকে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। হুথিদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।

এছাড়া হুথিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বে সমুদ্র পথে যত বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশই লোহিত সাগর দিয়ে হয়।

এদিকে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের হামলার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর অনেক প্রভাব পড়েছে। লোহিত সাগর থেকে মিসরের সুয়েজ খাল হয়ে যেসব জাহাজ ইউরোপে যেত; সেসব জাহাজকে এখন আফ্রিকা ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু জাইদি নামের উপ-সম্প্রদায়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হুথিরা। বেশিরভাগ ইয়েমেনি হুথিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বসবাস করেন। পাশাপাশি সানা এবং ইয়েমেনের উত্তরে হুথিরা লোহিত সাগরের উপকূলরেখাও নিয়ন্ত্রণ করে তারা।