ইরানে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ জুলাই

ইরানে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৯ জুন) ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে চার প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এ কারণে, আরেক দফা অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পাজেশকিন ও সাঈদ জালিলির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। খবর তাসনিম নিউজের। 

ইরানে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫টি। ৪০ শতাংশেরও নিচে ভোট পড়েছে এ নির্বাচনে।

নির্বাচনে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পাজেশকিন। তিনি প্রাপ্ত ভোটের ৪২.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট। তিনি শতকরা ৩৮.৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।  

অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মো. বাকের কালিবাফ ও মোস্তাফা পৌরমোহাম্মদী  পেয়েছেন যথাক্রমে ১৩.৭৮ শতাশ ও ০.৮৪ শতাংশ ভোট।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রথম দফার নির্বাচনে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে।

প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারায় নির্বাচন গড়িয়েছে রানঅফে অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায়। আগামী ৫ জুলাই প্রথম দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

শনিবার (২৯ জুন) ভোট গণনার প্রথম দিকে এগিয়ে ছিলেন, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি। 

গত ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুজন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এরফলে শুক্রবারের (২৮ জুন) নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়।

নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জরিপে আগেই উঠে এসেছিল সংস্কারবাদী মাসুদ পাজেশকিন সর্বোচ্চ ভোট পাবেন।ভোট গণনা শেষে তা-ই দেখা গেল।