গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব

গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির উপর গুপ্তচরবৃত্তির কারণে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইসিসি বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ প্রকাশের পর উদ্বিগ্ন হয় ডাচ সরকার। এই আদালতের উপর ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থাগুলোর বিভিন্ন গোপন তৎপরতার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলবের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডসের সরকার। খবর মিডলইস্ট মনিটরের।

দেশটির কর্মকর্তারা ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মোদি ইফ্রাইমকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চান। তদন্তে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়। 

ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের আচরণ ক্ষুব্ধ হওয়ার মতো বলে মত প্রকাশ করে ডাচ সরকার। দখলদার ইসরায়েল আইসিসির চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়কে প্রভাবিত করতেও ভয় দেখিয়েছে।

মঙ্গলবার ডাচ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে গুপ্তচরবৃত্তি ও হুমকি বিষয়ে অবগত করা হয়। আলোচনায় ইসরায়েলের আচরণ নিয়ে নেদারল্যান্ডস উদ্বেগ প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বর্বরতার জবাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলি গাজা উপত্যকা থেকে আল-আকসা তুফান নামে অভিযান শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরায়েলি সেনাদের চালানো গণহত্যায় প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের পরিকল্পনায় ইসরাইল গঠনের নীল-নকশা তৈরি হয়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়। 

১৯৪৮ সালে ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে বংশ নির্মূল করার টার্গেট নিয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বেপরোয়া গণহত্যা চালিয়ে এসেছে। ফিলিস্তিনিদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য ইসরাইল অসংখ্যবার গণহত্যা চালিয়েছে।

শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী পক্ষগুলোর তালিকায় দখলদার ইসরাইলকে যুক্ত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ হাজার ৬৯৪টি যাচাইকৃত গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলি সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে, যার মধ্যে জনবহুল এলাকায় হামলা চালিয়ে শিশুহত্যাও অন্তর্ভুক্ত।

এই বার্ষিক প্রতিবেদনে শিশুদের মধ্যে প্রাণহানির উচ্চ সংখ্যার জন্য জনবহুল এলাকায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানকে দায়ী করা হয়।

গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।