কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে ছাত্র সমাবেশ

কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে ছাত্র সমাবেশ

ছবি:সংগৃহীত

২০১৮ সালের জারিকৃত (কোটা ব্যবস্থা বাতিল) পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে কোটা প্রথা বাতিলে ৪ দফা দাবি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসের রফিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এরপরের কোনো সিদ্ধান্ত এদেশের মেধাবীরা মেনে নেব না। আমরা সুস্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, একটি পরিবার একটি কোটা একবার মাত্র ব্যবহার করবে। একই কোটা বারবার ব্যবহার করে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি এমনকি সরকারি চাকরিতেও সুবিধা নিবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এটা হতে পারে না। 

ছাত্র সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, এদেশে সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে কোটা প্রথা পুনরায় বহাল থাকলে মেধাবীদের উপর অবিচার করা হবে। কোটা থাকুক আমরাও সেটার বিপক্ষে না। কিন্তু ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। নতুবা এই দেশের ছাত্র সমাজ পুনরায় রক্ত দিয়ে হল রাজপথে জোরালো আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে। 
 
পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো:

১.২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। 

২.১৮'এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। 

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ছাত্র সমাবেশ শেষে আন্দোলন কারীরা বলেন, আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে আমাদের নিজস্ব প্লাটফর্মে জানিয়ে দেব।