রামগড় সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু ১৪ আগস্ট

রামগড় সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু ১৪ আগস্ট

ছবি:সংগৃহীত

অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে রামগড়বাসীর। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে।বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গেল মঙ্গলবার দুপুরে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে আয়োজিত ভার্চুয়ালি এক সভায় দুই দেশের ইমিগ্রেশন চালু নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ভার্চুয়াল সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক মো: সরওয়ার আলম, রামগড় ইমিগ্রেশন থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) রাজু আহমেদ, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মনির হোসেন, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্রসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ভিডিও বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ইমিগ্রেশন হয়ে যাত্রী পারাপারে ভারত থেকে পত্র পেয়েছি। যা আগামী ১৪ আগষ্ট উদ্বোধনের পর দুই দেশের নাগরিকরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপেক্ষে মৈত্রী সেতু-১ হয়ে পারাপারের সুযোগ পাবেন। প্রথমে যাত্রী চলাচল শুরু হচ্ছে পরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরী হলে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাও শুরু হবে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।’

এ দিকে, বহুল প্রতীক্ষিত রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত পাহাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থল বন্দর এটি।

রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী বলেন, ‘পাহাড়ে বসবাসরত বহু ভাষাভাষী মানুষের অনেক স্বজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন দুই দেশে, আছে সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ও। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হলে সে বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।’ পাশাপাশি পর্যটন খাতেরও বিকাশ ঘটবে বলে জানান তিনি।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ইমিগ্রেশন চালুর পর দ্রুত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে দুই দেশ। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারেন সে লক্ষ্যে মানি এক্সচেঞ্জ সুবিধা রাখার দাবি এ ব্যবসায়ী নেতার।

উল্লেখ্য, রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে সীমান্তকুল ঘেঁষা ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১ চালু হয় ২০২১ সালের মার্চে। এ বন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি করা যাবে ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সাথে।