জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে যা বললেন জিএম কাদের
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি প্রশাসনিক নির্দেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন না।
তিনি বলেন, এটা করা ঠিক হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বহুদলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। যদি তাদেরকে ক্ষতিকারক মনে করা হয়, জনগণ তাদের বর্জন করবে এবং আস্তে আস্তে তারা জনগণ থেকে হারিয়ে যাবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা থেকে বিমানযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, তবে জোর করে কিছু করতে চাইলে জামায়াত-শিবিরের যদি সাংগঠনিক কাঠামো থাকে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। এতে দেশে অস্থিতিশীল অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ এখান থেকে বপন হতে পারে- সেটা সামনের দিকে বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে পরে যতবার বিএনপি আর জামায়াত-শিবিরের কথা সরকারের বলেছে আমি বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং ঢাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি- সরকারের এই অভিযোগ দেশের সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেনি। এবারের আন্দোলন ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির কেউ কেউ থাকে তারা ব্যক্তিগতভাবে মানুষ হিসেবে সেখানে ছিল। তা ছাড়া আন্দোলনের ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা সরকার এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। দেশের জনগণ এসব আর গ্রহণ করছে না।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এবার নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন? তারা যদি সত্যিকারভাবে সন্ত্রাস দমন করতে চায় তাহলে তাদের চিহ্নিত কেন করা হলো না। এটা করলে প্রতিহতের প্রশ্ন আসে। কিন্তু হেলিকপ্টার ও বড় বড় ভবন থেকে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করা হলো- শিশু, গৃহিণীরাও রেহাই পায়নি। আসলে সরকার ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশ এখনও উদ্ধার হয়নি।