‘সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে টিসিবির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে’

‘সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে টিসিবির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে’

ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই টিসিবির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, টিসিবির সেবার মান আরও বাড়ানো হবে, সেইসঙ্গে পণ্যের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

‘আপনারা জানেন বাজারে ৭-৮ দিন সরবরাহ ছিল না। এই সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে দোকানদাররা সুযোগ-সুবিধা নেয়। যেটা অনৈতিক। আপনারা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর শান্তিবাগে টিসিবি পণ্য বিক্রয় পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিটু বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দামটা একটু বেশি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা চলছে। টিসিবি নিজেও চেষ্টা করছে। রমজানে যেভাবে পেঁয়াজ আনা হয়েছিল, টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ  ঢাকা ও শহরের আশেপাশে যেন দেয়া যায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নিজেরাও বাজারে বাজারে যাচ্ছি। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে আমরা মনিটরিং করছি। কোনও বাজারেই কোনও পণ্যের কমতি নেই। এত প্রতিবন্ধকতার পরও বাজারে পণ্যের সরবরাহ আমরা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছি।

চালের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল থেকে শুরু করে হোলসেল মার্কেট পর্যন্ত চালের সরবরাহ ব্যবস্থা যেন নিরবিচ্ছিন্ন থাকে, ট্রাকগুলো যেন সহজে আসতে পারে, আমরা সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল আছে। আমরা চেষ্টা করছি ট্রাক মালিকদের সঙ্গে বসতে। বাসের যেমন ভাড়া নির্ধারণ করা থাকে, আমরা দূরত্বভেদে ট্রাকেরও ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে পারলে পরিবহন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারের সামঞ্জস্যতা ফিরে আসবে।

তেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা গায়ে লেখা দাম দেখে কিনবেন। তারপরও যদি কোনও অসুবিধা থাকে তাহলে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদফতরের হটলাইন নম্বরে ফোন করে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।