ফেনীতে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু

ফেনীতে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু

সংগৃহীত

ফেনীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা অসহযোগের সমর্থনে মহিপাল এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন।

তবে দুপুর দুইটার দিকে মহিপাল সেতুর নিচে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মুহুর্মুহু গুলি, ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ৩ গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে হতাহত ব্যক্তিদের ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফ ইকবাল (আরএমও) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বলেন, এ মুহূর্তে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঁচজনের লাশ রয়েছে। তাঁরা সবাই মহিপালে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে সবার বয়স ১৭ থেকে ২৫ এর মধ্যে।

এদিকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাড়াও ইট–পাটকেলের আঘাতে অনেকে আহত হন। বিকেলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৫ জন ভর্তি হন বলে জানা গেছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন বাংলাভিশনের প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন সুলতান মাহমুদ (২৩), জবাবদিহি পত্রিকার সাংবাদিক হাসনাত তুহিন (৪৫), পথচারী সাইফুল ইসলাম ও যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম (৩২)। এ ছাড়া আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।

ফেনীতে সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস বা অন্য কোনো যানবাহন তেমন দেখা যায়নি রাস্তায়। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এ সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী মহিপাল উড়ালসেতুর পাশে জড়ো হয়ে স্লোগান শুরু করেন। এ সময় আশপাশে থাকা আরও বহু শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ মিছিলে শামিল হন। এরপর বেলা দুইটার দিকে সেখানে মিছিল নিয়ে আসেন সরকারদলীয় কর্মী–সমর্থকেরা।