বরিশালে ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ

বরিশালে ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ

ফাইল ছবি

নিরপেক্ষ এবং যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলাসহ ১১ দফা দাবিতে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ। বুধবার দুপুরে পুলিশ লাইন্সে জেলা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পৃথক দুই কর্মসূচি পালন করে তারা। 

বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে করা সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু আমরা সেই বৃটিশ আইনের মধ্যেই রয়েছি। এ কারণে প্রতিনিয়ত বদলী থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে নানা কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। শাস্তি পেলে পদোন্নতিতে সমস্যা সৃষ্টি করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

তিনি বলেন, আমাদের কর্মঘণ্টা বলতে কিছুই নেই। অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে অসুস্থতায় পড়তে হয়। এরপরও কাজ করতে বাধ্য করেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানে কোন কথা বলার সুযোগ নেই। 

অপর সদস্য মো. মহিবুল্লাহ বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। এ থেকে মুক্তির একটি মাত্র উপায় পিএসসি ও হেডকোয়াটারের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন। এতে করে মেধাবীর যাচাইর সাথে সাথে ঘুষ বন্ধ হবে। 

তাদের দাবিগুলো হলো- ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকের আর্থিক ক্ষতিপূরন এবং প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেয়া, সাব ইন্সেপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়াটারের অধীন নিয়োগ দেয়া, পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারন, পুলিশকে কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন। 

দেশবাসী উদ্দেশ্যে করে তারা বলেন, সকলের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা পুলিশের প্রতি এই ক্ষোভ না রেখে দয়া করে আমাদেরকে একটু বোঝার চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল করেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।

এপিবিএন’র সংবাদ সম্মেলন
অপরদিকে বিকেলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও তারা বলেন, সরকার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে এখন সবাই বিপদে পড়েছেন। জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা আর সরকার ও উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তাদের কারণে নিজেদের প্রশ্নের মধ্যে ফেলতে চাই না।