নতুন সরকারের কাছে যেসব দাবি সোহেল তাজের

নতুন সরকারের কাছে যেসব দাবি সোহেল তাজের

সংগৃহীত ছবি

দুর্নীতি, হত্যা-গুমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশকিছু দাবি তুল ধরেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

বুধবার (৭ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।

সোহেল তাজ বলেন, আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে হবে। সরকার প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি, হত্যা, গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তার পাশাপাশি একজন নিরীহ কর্মীরও বাঁচার অধিকার আছে। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যে সংস্কারের জন্য আন্দোলন হয়েছিল, তার দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের মতে ভিন্নতা থাকবে। ভিন্ন মতকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার মতো আমারও দাবি, দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। সাম্য আর ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনবান্ধব পেশাদার বাহিনী হিসেবে করে গড়ে তুলতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, মেধাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তব উপযোগী করতে হবে। দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক ব্যবহার থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের কথা বলার অধিকারসহ সব মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে হবে। গুম হত্যা বন্ধে আন্তরিক হতে হবে।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অরাজকতা বন্ধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারাবে। সম্মিলিতভাবে সবস্তরের মানুষকে নিয়ে আমরা যদি এ সংকট মোকাবিলা না করি, তাহলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়বে। যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো দিন পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এখনই সব প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে হবে। আর যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি বার্তা স্পষ্ট, বাংলাদেশের কোনো শাসকই ইচ্ছা খুশিমতো দেশ চালাতে পারবে না। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে আবারও দেশের তারুণ্য গর্জে উঠবে। কোনো শাসকের অন্যায় মেনে নেবে না দেশের ছাত্র-জনতা। সব হানাহানি বন্ধ করে আসুন সম্মিলিতভাবে দেশকে নতুন করি গড়ি।