যার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা একসঙ্গে দোয়া করেন

যার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা একসঙ্গে দোয়া করেন

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলা যেসব মাখলুকের দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল করেন, তাদের দোয়ায় সামিল হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। তেমনই এক পবিত্র ও নিষ্পাপ মাখলুক হচ্ছেন ফেরেশতা। তাঁদের দোয়া সবার ভাগ্যে জোটে না। হাদিস শরিফে এমন দুটি আমলের উল্লেখ পাওয়া যায়, যাতে একসঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করেন। আমল দুটি হলো—

১. অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যাওয়া
‘কোনো মুসলিম যদি অন্য কোনো (অসুস্থ) মুসলিমকে সকাল বেলা দেখতে যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর যদি সন্ধ্যায় যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত ৭০হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর জান্নাতে তার জন্য আহরিত ফল নির্ধারিত হবে’। (জামে তিরমিজি: ৯৬৭, হাদিসটি হাসান)

২. সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত
‘যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ‘আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিম, মিনাশশাইত্বনির রাজিম’ পড়ার পর সুরা হাশরের শেষের তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিয়োজিত করে দেবেন। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবে। সে ওই দিন মৃত্যুবরণ করলে শহিদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করবে। এমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এরূপ পাঠ করবে, সেও একই ফজিলতের অধিকারী হবে’। (জামে তিরমিজি: ২৯২২; মুসনাদে আহমদ: ২০৩০৬; আত তারগিব: ১/৩০৪)

তবে, উল্লেখিত (২ নম্বর) হাদিসটি জয়িফ বা দুর্বল। এমন হাদিসের ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুসারে, এখানে যে ফজিলত বলা হয়েছে তার ওপর শতভাগ একিন ছাড়া আমলটি করার অবকাশ রয়েছে। কারণ, এটি কোরআনে কারিমেরই তিনটি আয়াত। অন্তত প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি নেকি তো অবশ্যই মিলবে। তাই চাইলে এ আমলটিও করা যায়। 

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উপরোক্ত আমলগুলো সবসময় করার তাওফিক দিন। আমিন।