নির্বাচনের ঘোষণা দিলেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন: জয়

নির্বাচনের ঘোষণা দিলেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন: জয়

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলেই তাঁর মা দেশে ফিরে আসবেন। গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন জয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোনো দেশে আশ্রয় চাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। জয় জানান, তিনি নিজে রাজনীতিতে নামার জন্য তৈরি।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দিন দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। এমনকি তারা জিততেও পারে। বাংলাদেশে আমাদের জনসমর্থনের ভিত্তিই সবচেয়ে বড়।’ দলের স্বার্থে এখন নিজে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জয়।

এর আগ পর্যন্ত বরাবর তিনি রাজনীতিতে অনাগ্রহ দেখিয়ে এসেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীদের রক্ষার জন্য আমি যা দরকার, তা-ই করব। এ জন্য আমাকে রাজনীতিতে যোগ দিতে হলে পিছিয়ে যাব না। এই মেয়াদের পরই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন।

আমার কখনো কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রেই থিতু হয়ে গিয়েছি। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে নেতৃত্বের শূন্যতা রয়েছে। দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি এখন সামনের কাতারেই রয়েছি।’
 
আত্মানুসন্ধানের কথা স্বীকার-

শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে জয় বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মানুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। ‘অবশ্যই আমাদের কিছু ভুল হয়েছে।

দেশ চালাতে হলে প্রতিদিন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আওয়ামী লীগ আত্মানুসন্ধানে বিশ্বাসী এবং আমরা তা করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমরা এবার তা করার সুযোগ পাইনি। আমরা বুঝতে পারিনি যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও এত দ্রুত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যাবে।’ বলেন জয়।

বাংলাদেশকে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান জয়। ভবিষ্যৎ সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের জোট বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে ভারতের পূর্ব সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। বিএনপি ও জামায়াতের জোট হলে তা হয়তো ভারতের জন্য ভালো হবে না। কারণ জামায়াত জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকবে না।

হাসিনার ভারতবাস দীর্ঘায়িত হতে পারে-

এদিকে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনা প্রত্যাশার  চেয়ে বেশিদিন ভারতে থাকতে পারেন বলে দেশটির শীর্ষ সরকারি সূত্রে জানা গেছে। ভারতের একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘নিউজ ১৮’ বলেছে, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার নিরাপদে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার বিষয়টি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। ভারতের আশ্রয় বা শরণার্থী আইন নেই এবং দেশটি পৃথক ঘটনা ধরে ধরে কাউকে অনুমতি দেয়...তাঁর ভারতে থাকা হবে ভিসার ওপর।