এমপি-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার, যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

এমপি-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার, যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এবার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একটি হাদিস শেয়ার করেছেন তিনি।

পোস্টে আজাহারী লিখেছেন, নিশ্চই তোমার রবের পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন (সুরা আল বুরুজ: ১২)।

এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিপ্লবোত্তর সামনের দিনগুলো নিয়ে লিখেছিলেন তিনি। আজহারী লিখেছিলেন, ‘বিপ্লবোত্তর সামনের দিনগুলো বেশ ক্রিটিকাল। প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে সদা-জাগ্রত, সদা-সজাগ থাকা চাই। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে রাজপথ দখলে রাখতে হবে আরও কিছুদিন। তারুণ্যের এই গণজোয়ার অব্যাহত থাকুক। করুণাময় এ বিজয়কে টেকসই করুন।’

গত ১১ আগস্ট অনেকগুলো কার্ড শেয়ার করে নিজের স্বপ্নের বাংলাদেশের বিবরণ দিয়েছিলেন আজহারী। এসব কার্ডে তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনি বদলে গেলেই বদলে যাবে দেশ। তাই নিজেকে দিয়েই হোক পরিবর্তনের সূচনা।’ ‘রাজনীতিতে আসুক যুগান্তকারী সব পরিবর্তন। অন্যায় আর অরাজকতার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক নতুন ভোরের বাংলাদেশে।’ ‘বন্ধ হোক স্বজনপ্রতি, ঘুষ, তদবিরসহ যাবতীয় লেজুড়বৃত্তিপনা। চাকরিসহ সবখানে ঘটুক মেধার সম্মিলন। মেধাই হোক নিয়োগের মাপকাঠি।’ ‘ছাত্র রাজনীতির ব্যানারে শিক্ষাঙ্গন থেকে বিলোপ সাধন হোক সব অনিয়ম ও র‌্যাগিং কালচারের। যে হাত কলম ধরে, সে হাতে স্পর্শ না লাগুক অস্ত্রের।’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু সাংস্কৃতিক চর্চা নয়, গবেষণামূলক নবজাগরণ সৃষ্টি হোক।’ ‘জনগণের জন্য তৈরি হোক ‘জনতার মঞ্চ’ নামের ফোরাম যেখানে জনগণ সরাসরি প্রশ্ন করবে তাদের জনপ্রতিনিধিকে। জনপ্রতিনিধি/এমপি-মনন্ত্রীগণ সেসব প্রশ্নের জবাব দানে বাধ্য থাকবেন।’ এমন ৪০টির বেশি কার্ড শেয়ার করেন তিনি।

আর প্রথম কমেন্টেসে আজহারি লিখেছিলেন, ‘রাষ্ট্রের পরিবর্তন শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে না, বরং ব্যক্তিগত উদ্যোগের ওপরও অনেকাংশে নির্ভর করে। যখন একজন ব্যক্তি নিজেকে বদলাবে, তখন তার পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিজেকে বদলানো মানে নিজের চিন্তাভাবনা, আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি পরিবর্তন করা। ব্যক্তিগত পরিবর্তন থেকেই সামাজিক পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব। আপনি বদলে গেলেই বদলে যাবে দেশ। তাই নিজেকে দিয়েই হোক পরিবর্তনের সূচনা।’