অন্তর্বতীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনে আমরা প্রস্তুত: বিমান বাহিনী প্রধান

অন্তর্বতীকালীন সরকারের নির্দেশনা পালনে আমরা প্রস্তুত: বিমান বাহিনী প্রধান

ছবি: প্রতিনিধি

টিআই তারেক: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেছেন, 'ভবিষ্যতে দেশের জন্য যা যা করনীয় আমাদের বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার আমাদের যে দায়িত্ব দিবে সে দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত আছি এবং আমরা সহোযোগিতা করবো। এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধ পরিকর।'

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে যশোর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এবং বিমান বাহিনী প্রধান 'In Aid to Civil Power' এর আওতায় উক্ত বিমান বন্দরে বিমান বাহিনীর সদস্যদের পরিচালনা ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিমান বাহিনীর প্রধান বলেন, 'বিমান বাহিনী হিসেবে প্রথম থেকেই আমরা তৎপর ছিলাম।  আমাদের কাজ হচ্ছে এভিয়েশন রিলেটেড এবং সিভিলেভিয়েশনেও আমাদের অনেক সদস্য আছেন, চেয়ারম্যানও আছেন। সেক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই ভেবেছিলাম বিমানবন্দরটাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সাথে বিভিন্ন মালামাল বহন করা হয়। এবং বিমানবন্দর গুলোতে বিভিন্ন দেশের বিমান আসে। বিশেষ করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন দেশের নামি-দামি অনেক বিমান থাকে। সেখানে যদি কোন বিমানে কোন প্রকার দূর্ঘটনা ঘটতো তাহলে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যেতে পারতো। সেই কথা বিবেচনা করে ঢাকা বিমানবন্দরে বিমান সেনাদের নির্দেশ দিয়েছিলান। একইসাথে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,  যশোসহ সকল বিমানবন্দরে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'সাম্প্রতিক কিছু সময় ছাড়া আমাদের অপারেশন কোন বিমানবন্দরে বন্ধ হয়নি। আমাদের বিশেষ দায়িত্ব আকাশ প্রতিরক্ষা, এটি চলমান আছে। তবে এটি সব সময় সকলের দৃষ্টিগোচর হয় না। এ দায়িত্ব শান্তিকালীন, যুদ্ধকালীন সব সময় চলমান বিষয়। আমাদের এ সকল দায়িত্বের পরেও আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে ঢাকাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কাজে নিয়জিত করেছি।'

বিমান বাহিনী প্রধানের পরিদর্শন কার্যক্রম চলাকালে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা), বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়কা, বিমান সদর ও ঘাঁটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং যশোর বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পদবীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।