ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়কসহ ১৪ জনের নামে মামলা

ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়কসহ ১৪ জনের নামে মামলা

ফাইল ছবি

শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বিকালে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আমতলা সড়কের কার্যালয়টি আগুনে পুরে দেন সাবেক সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা।

ওই  ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সদর থানায় ১৪ জনের নাম উল্লে­খ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির ঝালকাঠি পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাদীর স্বাক্ষরিত এজাহারে যাদেরকে অভিযুক্ত করে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মো. হাফিজ আল মাহমুদ, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুল, মো. রিপন তালুকদার, যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর মো. কামাল শরীফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠু, গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাসুম, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মনু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সঞ্জয় মিত্র, অ্যাডভোকেট কার্তিক চন্দ্র দত্ত, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত মোল্লা  এবং জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরুন শুভ। এছাড়া অজ্ঞাত নাম পরিচয়ে আরো ৫০ থেকে ৬০ জন এ ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে এজাহারে উলে­খ করা হয়েছে।

এজাহারে বাদী লিখেছেন, ‘ঘটনার দিন বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী নিয়ে একটি মিটিং চলছিল। হঠাৎ রেজাউল করিম জাকিরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র এবং বোমা নিয়া আমাদের ওপর আক্রমণ করে এবং কার্যালয়কে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। চারদিক ধোয়ায় আচ্ছন্ন হলে আমরা অফিসের ভেতরের নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামিরা আমাদের মারধর করে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে এবং প্রাণনাশের হুমমি দেয়।  এসময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে মালামাল ভাঙচুর করে আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষতি করে।’

আনিসুর রহমান তাপু এজাহারপত্রে আরো লিখেছেন, ‘আমাদের অফিসের ড্রয়ারে রাখা দলীয় ফান্ডের এক লাখ টাকা আসামি আব্দুল মান্নান রসুল নিয়া যান। পরবর্তীতে আসামিরা অফিসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, যাতে আমাদের পুরো অফিসটি ভস্মিভূত হয়ে যায়।