মৌলভীবাজারে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

মৌলভীবাজারে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

সংগৃহীত

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও কমলগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে কমপক্ষে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৬টায় মনুনদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মিটার, মনুনদের রেলওয়ে ব্রিজে পানি ১০৮ সে.মিটার, ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রিজে পানি ৩৩ সে.মিটার, জুড়ী নদীতে ১৮৮ সে.মিটার ও কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ৫ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, মৌলভীবাজারে দ্বিতীয় দফা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে মৌলভীবাজার। ইতোমধ্যে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখার হাওরের পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, রাজনগর উপজেলার একামধু, ভাঙ্গারহাটহাট ও কদমহাটা গ্রামে মনুনদের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে বেশ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাউবো ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গেল কয়েকদিন থেকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলা সবকটি নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। জেলার রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক বাসিন্দা।

এছাড়াও কমলগঞ্জ, শমসেরনগর এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে উপজেলার বেশিরভাগ সড়ক।

এদিকে, মৌলভীবাজার শহরের আশপাশে এখনো বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের মানুষ আতঙ্কে রাত্রি যাপন করেন। বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। শহরবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে৷ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় শহরের সেন্ট্রাল রোডে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়ায় নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। জেলার অনেক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে।