বিড়িতে বৈষম্যমূলক মূল্যস্তর বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন

বিড়িতে বৈষম্যমূলক মূল্যস্তর বৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন

ছবি : সংবাদাতা

চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর ধার্যকৃত বৈষম্যমূলক অতিরিক্ত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের নিশ্চয়তা, বিড়ির উপর অগ্রীম আয়কর প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রংপুর বিড়ি শ্রমিকরা। সোমববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ও বৃহত্তর রংপুর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্দ্যোগে মানববন্ধনে দুই সহ¯্রাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে।

মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্পের সাথে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক জড়িত। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অসহায় শ্রমিকরা বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিশেষ করে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলঙ্গ ও চর এলাকার মানুষ কর্মের সুযোগ পায়। করোনা পরিস্থিতিতে বিড়ি কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা চরম অসহায়ত্বে দিনাতিপাত করছে। তার উপর চলতি বাজেটে বিড়ির উপর বৈষম্যমূলক মূল্যস্তর বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেট বিড়িতে মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপরদিকে নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও মধ্যম স্তরের সিগারেটের কোন মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। এটা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে বিড়ির বাজার বিদেশী সিগারেট কোম্পানী দখল করে নিয়েছে। দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে বিদেশী কোম্পানী সুবিধা পাচ্ছে। বিড়ি কারখানা বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা কাজের অভাবে মুজুরী না পেয়ে অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। 

শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, সমাজের অসহায় বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিড়ির উপর কর কমানোর নির্দেশনা দিলেও সেটা অমান্য করে বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসনে বিড়ি শিল্পের উপর মাত্রাতিরিক্ত মূল্যস্তর বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য বিড়ির উপর অর্পিত বাজেটটি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে যেমন বিড়ির উপর কর ছিল না বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েও কর না রাখার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, হারাগাছ বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, আমিরুল ইসলাম, হেরিক হোসেন, আবুল হাসনাত লাভলু, শামীমুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।