পাবনায় ইয়াবা বহনের পর মৃত্যু, লাশ কেটে ইয়াবা উদ্ধার

পাবনায় ইয়াবা বহনের পর মৃত্যু,  লাশ কেটে ইয়াবা উদ্ধার

ফাইল ছবি

পেট কেটে ইয়াবা বের করা হলো। পরে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন ইয়াবা বহনকারী ব্যক্তি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা পাবনা আনার জন্য গিলে ফেলেন ১৫৫০ পিস ইয়াবা। পরে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেলে পেট কেটে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।ওই ব্যবসায়ীর নাম শুকুর আলী। তিনি টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে ৩১ প্যাকেটে ১৫৫০পিস ইয়াবা খেয়ে বহন করছিলেন শুকুর আলী। পরে দু’জন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবাসহ ধরা পড়লে তারা পুলিশকে জানান শুকুরের কাছ থেকে ইয়াবা কেনার কথা। তথ্য পেয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তার পেটে ইয়াবা দেখা যায়। তার পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাঁকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, তার মৃত্যুর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তার ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, ইয়াবা বড়িগুলোর কিছু পেটের গরমে গলে যায়। একারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, উদ্ধার করা ইয়াবা আলামত হিসেবে পাবনায় পাঠানো হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল।

নওশাদ আলী বলেন, প্যাকেট ফেঁটে বড়ি বের হয়ে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তাদের কাছে আরো ইয়াবা আছে।