বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

সংগৃহীত

ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১১টি জেলা। এতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এ অবস্থায় যে যেভাবে পারছেন ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সহায়তায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী তাদের ১ দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বন্যায় এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে বিশ্ব। যে যেভাবে পারছেন ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরইমধ্যে প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে তারা নিজেদের এক দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যা দুর্গত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। বিতরণ করছেন জরুরি ওষুধপত্র, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। কিছু জায়গায় তৈরি খাবার এবং ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন।

কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আসুন সবাই যার যেমন সামর্থ্য আছে সেখান থেকে ততটুকুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার পাশে আছি। আমাদের অনেক ক্লিনিক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ওষুধপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে প্রতিদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছি।