শিশুদের কানের সমস্যা কোন বয়সের বেশি হয়?

শিশুদের কানের সমস্যা কোন বয়সের বেশি হয়?

ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে ছোটদেরও কানের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকসময় তা হতে পারে কনজেনিটাল বা জন্মগত বধিরতা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, স্কুল পড়ুয়া শিশু কিশোরদের শ্রবণশক্তি সমস্যা বাড়ছে। ছোট থেকেই দেখা দিচ্ছে কানে কম শোনা থেকে শুরু করে বধিরতার মতো লক্ষণগুলো। তা মা-বাবার এই ব্যাপারে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের শরীরে কোনো সংক্রমণ হলে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা শিশুদের জন্ডিস বা মেনিনজাইটিসের মতো অসুখ হলে শৈশবেই কমবেশি শ্রবণশক্তি চলে যেতে পারে। খুব ছোট অবস্থায় চিকিৎসা শুরু না হলে একটু বড় হওয়ার পরে শিশুর কথা বলাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে স্কুলে যাওয়া অর্থাৎ ছ’বছর বয়স পর্যন্ত কানের সমস্যা হয় বেশি। 

শিশুদের সাধারণত কানে ব্যথা হওয়া, কান চুলকানো, কান দিয়ে পানি পড়া বা পুঁজের মতো চটচটে আঠালো রস বের হওয়া— এমন নানা সমস্যা দেখা দেয়। কানে সংক্রমণজনিত কারণেও এসব সমস্যা হতে পারে। আবার উচ্চস্বরে হেডফোন বা ইয়ারফোনে গান শুনলেও কমে যেতে পারে শ্রবণশক্তি স্কুলপড়ুয়া অনেক শিশুরই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বাবা-মায়েরা হিসেবে করণীয় - চিকিৎসকের পরামর্শ কানের যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কান পরিষ্কারের জন্য তুলো লাগানো ‘স্টিক’ ব্যবহার করবেন না। এই তুলো কানের ভেতর থেকে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। হেডফোন/ইয়ারফোন ব্যবহারে বাধা শিশুকে একটানা কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনতে দেবেন না। যদি স্কুল বা ক্লাসের প্রয়োজনে কানে হেডফোন লাগাতেই হয়, তাহলে মাঝে ১০ মিনিট করে বিরতি দিন।

কানে পানি ঢুকেছে কিনা খেয়াল রাখুন অসাবধানতাবশত কানের ভেতরে পানি ঢুকলে এবং সময়মতো চিকিৎসা না করালে পুঁজের মতো তরল তৈরি হয়। এর থেকেও কানে সংক্রমণ হতে পারে। তাই গোসলের সময়ে শিশুর কানে পানি ঢুকেছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখুন। স্তন্য দানে সাবধান মায়েরা স্তন্যপান করানোর সময়ে বা বোতলে দুধ খাওয়ানোর সময়ে শিশুর কানে দুধ প্রবেশ করতে পারে। শিশুদের মাথা সমতলে না রেখে উঁচু করে রাখলে পানি, দুধ কানে ঢোকার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে। সে বিষয়েও সচেতন থাকুন।