পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় রাত থেকেই যৌথ অভিযান

পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় রাত থেকেই যৌথ অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা দূর করতে তৎপর হচ্ছে প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে আজ রাত থেকেই গার্মেন্টস অধ্যুষিত সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে তিনিসহ পোশাক শিল্প মালিকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতেই সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে যৌথ অভিযানে যোগ দেবে র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোয় যাতে করে শ্রম অসন্তোষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা কেউ পোশাক শ্রমিক না। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

 

গত কয়েক দিন ধরে সাভারের আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিক ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাস দেওয়া, শ্রমিক নিয়োগ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ দাবি জানান। এসব পরিস্থিতির জেরে অর্ধশতাধিক কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

এদিকে জুলাই মাস পুরোটা এবং আগস্টের শুরুতে আন্দোলনের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে পোশাক শিল্প খাত। সঙ্গে যোগ হয় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলার বন্যা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কয়েক দিন যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে পোশাক শিল্পে দেখা দেয় সুঁতার সংকট। এতে উৎপাদন কমে যায় প্রায় ৫০ ভাগ। এমনিতেই পোশাক মালিকরা যখন হিমশিম খাচ্ছেন তখন শ্রমিকদের এই আন্দোলনে তারা দিশেহারা। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পোশাক খাতে স্বস্তি ফেরাতে তৎপর হয়েছে।