টাঙ্গাইলে ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

টাঙ্গাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য, টাঙ্গাইলের কয়েকজন সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, ছানোয়ার হোসেন ও খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রনি আহমেদ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, প্রায় তিনবছর আগে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ টাঙ্গাইল আসেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান।

সেখানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্ত মঞ্চের কাছে পৌঁছার পর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে নুরুল হক নুরের ওপর হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে কতিপয় পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তারা জীবন নিয়ে ফিরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলার বাদী শাকিল উজ্জামান জানান, ঘটনার পর তারা মামলা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ সে সময় মামলা গ্রহণে অসম্মতি জানায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।