থানার ফ্যানে ঝুলিয়ে নির্যাতন: সাবেক ওসিসহ আসামি ৯
ছবি: সংগৃহীত
খুলনা সদর থানায় ছাত্রদল নেতাকে ঝুলিয়ে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনার এক যুগ পর থানার তৎকালীন ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নির্যাতিত খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম মাহামুদুল হক টিটু বাদি হয়ে আজ রোববার খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন।
টিটু নগরীর টুটপাড়া মেইন রোডের এস এম এমদাদুল হকের ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- খুলনা সদর থানার সাবেক এস আই মো. শাহ আলম, সাবেক এস আই মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন, কনস্টেবল কাশেম, জাহিদ, তারক ও ইস্রাফিল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তৎকালীন কমিশনার শফিকুর রহমান ও তৎকালীন ডিসি (সাউথ)।
বাদিপক্ষের আইনজীবী আ ফ ম মুস্তাকুজ্জামান জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে কেএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল সকালে পুলিশ মাহামুদুল হক টিটু ও ফেরদৌস রহমান মুন্নাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে টিটুর হাতে হ্যান্ডকাপ দিয়ে থানার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তৎকালীন ওসি টিটুর পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। পুলিশের পিটুনিতে টিটুর বাম পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এছাড়া মুন্নার চোখ বেঁধে এবং হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাকেও পেটানো করা হয়। এরপর টিটু ও মুন্নার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল বিএনপির ডাকা হরতাল ছিল। তৎকালীন ওসি কামরুজ্জামান পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি পদে কর্মরত রয়েছেন।