জুসের সাথে বিষ প্রয়োগে ভারতীয় গায়িকার মৃত্যু

জুসের সাথে বিষ প্রয়োগে ভারতীয় গায়িকার মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত।

গত বুধবার রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ওড়িশার বিখ্যাত গায়িকা রুকসানা বানুর। ভারতের ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুকসানা।

হাসপাতাল সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী রুকসানা ‘স্ক্রাব টাইফাস’ নামক রোগে ভুগছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।

রুকসানার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে। রুকসানার পরিবার বিষক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

রুকসানার মা এবং বোন শিল্পীর নাম প্রকাশ না করেই অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিম ওড়িশার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী গায়ক তার ওপর বিষ প্রয়োগ করেছেন। এর আগে নাকি রুকসানাকে তিনি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরিবারের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৫ দিন আগে শুটিং চলাকালীন জুস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুকসানা। এর পর থেকে তার স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে।

রুকসানার বোন রুবি বানুর মতে, গায়িকাকে অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল, রুকসানাকে ২৭ আগস্ট ভবানীপাটনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে বালাঙ্গীরের ভীমা ভাই মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।

তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বদগাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু গায়িকার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। অবশেষে রুকসানাকে ভুবনেশ্বরের এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

রুকসানার মা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি তার মেয়ের মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের দাবি করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হতে থাকে এই ভিডিওটি।

ভিডিওতে তার মা জানিয়েছেন, রুকসানাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে রুকসানা স্ক্রাব টাইফাসের জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষ প্রয়োগের কারণে মৃত্যু হয়েছে এমনটা দাবি করা হয়েছে। ‘স্ক্রাব টাইফাস’ হলো ব্যাকটেরিয়াঘটিত একটি রোগ। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে এটি হয়। বর্তমানে পুলিশ ও মেডিক্যাল টিম মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে।

পরিবারের দাবি, রুকসানার কাছে গায়কের থেকে হুমকি এসেছে বহুবার। রুকসানার পরিবার সন্দেহ করছেন, রুকসানার মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রুকসানার ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রুকসানার কারো সঙ্গে পেশাগত শত্রুতা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।