“ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধের মধ্যে বেড়া উপজেলার ৭৩০ জন জেলের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে”

“ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধের মধ্যে বেড়া উপজেলার ৭৩০ জন জেলের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে”

ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী।

‘মৎস্য আইন মেনে চলি ইলিশ সম্পদ রক্ষা করি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে পাবনার বেড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের যৌথ আয়োজনে জনসচেতনতামূলক  ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে এ মতবিনিময় ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ, আগামী বুধবার (১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। 

জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী, জেলে, মাছ বিক্রেতা, আড়ৎদার ও অনান্য সুধীজন সভায় উপস্থিত ছিলেন। আলোসভায়  ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধে সকলেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এ সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় চালারচরে অবস্থিত মাছ বাজার ও খাবার হোটেলে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আনাম সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে নুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপাপ্ত চেয়াম্যান মেজবা মোল্লা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, আব্দুল মতিন, আমিনপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, নগড়বাড়ি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর সামসুল ও জুলফিকার আলীসহ বেড়া মৎস্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

লিফলেটে বলা হয়েছে, মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশোধিত আইন ১৯৮৫ এর রুলস ১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত সময়ে সব প্রকার ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিয়োগসহ সংশিষ্ট কার্যক্রম আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম সংরক্ষণ অভিযান সরকার ঘোষণা করেছে। ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এই আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

অবৈধভাবে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি স্থানীয় মৎস্য বিভাগকে জানিয়ে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় নিজেকে সামিল করুন বলেও জানানো হয়েছে লিফলেটে।

ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিষয়ে আগে থেকেই মৎস্যজীবী, জেলে, মাছ বিক্রেতা, আড়ৎদাদের সতর্ক করা হচ্ছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও মসৎ দপ্তর সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।

ইউএনও আরো বলেন,“ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধের মধ্যে বেড়া উপজেলার ৭৩০ জন তালিকাভুক্ত জেলের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।” এ ঘোষণায় জেলেরা আশ্বস্ত হন।