বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
সংগৃহীত ছবি
আগের দুই ম্যাচের ছন্দ ধরে রেখে আরেকটি বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন হ্যারি ব্রুক। বেন ডাকেট উপহার দিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। কিন্তু শক্ত অবস্থানে থেকে ব্যাটিং ধসে সংগ্রহটা বেশি বড় হলো না ইংল্যান্ডের। স্পিনারদের নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর পর ম্যাথু শর্টের ঝড়ো ইনিংসে জিতল অস্ট্রেলিয়া।
বৃষ্টিবিঘ্নিত পঞ্চম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৪৯ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ তারা জিতল ৩-২ ব্যবধানে। ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চার বল বাকি থাকতে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ৩০৯ রানে। স্বাগতিকদের ইনিংসকে ভাগ করা যায় দুই ভাগে। প্রথম ২৫ ওভারে তারা ৩ উইকেটে করে ২০২ রান, পরের ২৪.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৭! ওপেনার ডাকেট ৯১ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৭ রান। আগের দুই ম্যাচে ৯৪ বলে অপরাজিত ১১০, ৫৮ বলে ৮৭ রানের পর এবার ৫২ বলে ৭২ রান করেন ব্রুক। ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের ইনিংসটি গড়া ৭ ছক্কা ও ৩ চারে।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার ট্রাভিস হেড। অষ্টম বোলার হিসেবে বোলিংয়ে এসে ৪ উইকেট নেন তিনি ৬.২ ওভারে ২৮ রান দিয়ে। ওয়ানডে ম্যাচে আটে কিংবা এর পরে বোলিংয়ে এসে তৃতীয় সেরা বোলিং এটি। ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পেসার ফারভিজ মাহারুফ ২০ রানে ও ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওমানের বাঁহাতি স্পিনার জিশান মাকসুদ ১৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এই ম্যাচে প্রথম ১৪ বলে ৪২ রান দেওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০ ওভারে ৭৪ রানে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। অফ স্পিনে ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা মিলে বোলিং করেন ৩২.২ ওভার, কোনো ওয়ানডেতে দলটির স্পিনারদের যা সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে শারজাহতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ২০২২ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২ ওভার ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের আগের সর্বোচ্চ। এদিন অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহার করা পাঁচ স্পিনারও কোনো ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ।
লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া ২০.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান করার পর বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। ডিএলএস পদ্ধতিতে তখন ৪৯ রানে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার শর্ট। বোলিংয়ে ৪ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ রান করে ম্যাচের সেরা হেড। সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দুটি জিতে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। শেষটিতে পেরে উঠল না তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৪৯.২ ওভারে ৩০৯ (সল্ট ৪৫, ডাকেট ১০৭, জ্যাকস ০, ব্রুক ৭২, স্মিথ ৬, লিভিংস্টোন ০, বেথেল ১৩, কার্স ৯, রাশিদ ৩৬, পটস ৬, স্টোন ৯*; স্টার্ক ৬-০-৪৭-০, হেইজেলউড ৬-১-৩৩-০, হার্ডি ৫-১-৩৮-২, জ্যাম্পা ১০-০-৭৪-২, ম্যাক্সওয়েল ১০-০-৪৯-২, কোনোলি ৪-০-৩১-০, শর্ট ২-০-৬-০, হেড ৬.২-০-২৮-৪)
অস্ট্রেলিয়া: ২০.৪ ওভারে ১৬৫/২ (শর্ট ৫৮, হেড ৩১, স্মিথ ৩৬*, ইংলিস ২৮*; পটস ৭-০-৪৯-১, স্টোন ৪-০-৩৬-০, জ্যাকস ১-০-২০-০, কার্স ৫-০-৩৬-১, রাশিদ ৩.৪-০-১৫-০)
ফল: ডিএলএস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
ম্যান অব দা ম্যাচ: ট্রাভিস হেড
ম্যান অব দা সিরিজ: ট্রাভিস হেড