তালেবান কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে রাশিয়া

তালেবান কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে রাশিয়া

ফাইল ছবি।

আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসকে এ কথা জানিয়েছেন আফগানিস্তান-বিষয়ক পুতিনের বিশেষ দূত জামির কামুলভ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ খবর জানিয়েছে।

জামির কামুলভ বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা এই প্রক্রিয়ার আইনি দিকগুলো চূড়ান্ত করছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাশিয়া। কারণ সংগঠনটি উত্তর ককেশাসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়েছিল।

শুক্রবার মস্কোতে আফগানিস্তান নিয়ে বার্ষিক কূটনৈতিক ফোরামের সময় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি তালেবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমরা আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন আফগানিস্তানের যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে তাদের দায়িত্ব স্বীকার করে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং কাবুলের বাজেয়াপ্ত করা সম্পদ ফেরত দেয়।

ল্যাভরভ আফগান নেতৃত্বের মাদক ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশংসা করেন। যদিও তিনি সরাসরি তালেবানদের উল্লেখ করেননি।

২০২১ সালে মার্কিন বাহিনীর প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা দখল করে। এর পর রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবান নারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং বেশ কিছু অধিকার খর্ব করেছে।

গত জুলাই মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘বিশ্বস্ত মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, তালেবান আইএসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার লড়াইয়ে সহায়ক হতে পারে।

রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ মন্তব্য করেছিলেন পুতিন। মার্চ মাসে মস্কোর একটি কনসার্ট হলে হামলায় ১৪৪ জন নিহত হন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস জঙ্গিরা।

আন্তর্জাতিকভাবে এখনও কোনও সরকার তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের দূতদের স্বাগত জানিয়েছে।