চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের নিয়ম, বৈধ কাদের জন্য?
ফাইল ছবি
নামাজ (ফারসি: نماز) বা সালাত (আরবি: صلاة) ইসলাম ধর্মের ৫টি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামি শরিয়তে রয়েছে।
ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের নিয়ম, বৈধ কাদের জন্য?
যে ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে অক্ষম, স্বাভাবিকভাবে রুকু-সিজদা আদায় করতে অক্ষম, তার জন্য বসে ইশারায় রুকু ও সিজদা আদায় করা জায়েজ এবং এ রকম ব্যক্তি যদি চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করে, তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।
চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে এ রকম মাজুর ব্যক্তির জন্য সামনে টেবিল রেখে তাতে সিজদা করা জরুরি নয়। বরং তার জন্য শুধু ইশারাই যথেষ্ট। সামনে টেবিল রেখে সিজদা দিলেও নামাজ হয়ে যাবে যেহেতু এর মাধ্যমেও সিজদার ইশারা আদায় হয়ে যায়।
রুকু-সিজদা আদায়ে সক্ষম না হলেও কারো যদি জমিনে পা ভাজ বা লম্বা করে বসার সক্ষমতা থাকে, তাহলে তার জন্য সঠিক ও সুন্নত পদ্ধতি হলো চেয়ারে নয়, বরং জমিনে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা।
নবীজি (সা.) ও সাহাবিদের যুগেও চেয়ার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। কিন্তু ঐ যুগে অক্ষম ব্যক্তিরা জমিনে বসে নামাজ আদায় করতেন। নামাজের সময় চেয়ারে বসার প্রচলন ছিল না।
যে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে সক্ষম, কিন্তু রুকু ও সিজদা করতে অক্ষম, সে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে এবং রুকুর সময় বসে রুকু ও সিজদার ইশারা করবে। রুকু করতে সক্ষম হলে রুকু স্বাভাবিকভাবে আদায় করবে এবং সিজদার সময় বসে সিজদার ইশারা করবে।
রুকু ও সিজদা করতে সক্ষম হওয়ার পরও কেউ যদি শুধু আরামের জন্য অথবা মামুলি কষ্টের কারণে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করে, সামনে টেবিল রেখে সিজদা করে তাহলে তার নামাজ হবে না।
কারণ চেয়ারে বসে সামনে টেবিল রেখে সিজদা করলে সিজদার ইশারা হয়, সিজদা আদায় হয় না। সিজদার সময় চেহারা ও হাতের পাশাপাশি উভয় হাঁটু জমিনের ওপর রাখাও সিজদার শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত। সিজদার সময় কপালের অংশ কোমরের অংশ থেকে নিচু থাকাও জরুরি। চেয়ারে বসে সামনের কোনো কিছুর ওপর কপাল রাখলে উল্লিখিত উভয় শর্ত পাওয়া যায় না।