বৃষ্টির সময় বান্দার সব আমল ও দোয়া কবুল হয়। এ সময় সবাই অজু করে নামাজ পড়ে দোয়া ও আমল করবেন।
আমল
মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়াশীল ও অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা ও দয়া করতে ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ নিজেকে দয়ালু ও অনুগ্রহশীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদিকে এমন কিছু বরকতময় দিন ও রাত দান করেছেন, যাতে ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং আখিরাতে মুক্তির আশা করা যায়।
মহান আল্লাহ বিভিন্ন বাহানায় তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। বান্দাকে শুধু সেই ক্ষমা পাওয়ার জন্য কোরআন-হাদিসের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে।
ইসলামে জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)।
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলার কাছে একটু সুপারিশের জন্য নবীদের দ্বারে দ্বারে মানুষ দৌড়াদৌড়ি করবে। সেদিন মহানবী (স.) ছাড়া কারও সাহস হবে না আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করার।
হজরত উকবা বিন আমির (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
বছরের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। কোনো দিনই গুরুত্বহীন বা অবহেলার যোগ্য নয়। তবে কোনো কোনো দিন মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশি মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। মহিমান্বিত ও ফজিলতপূর্ণ সে দিনগুলোর অন্যতম হলো জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন।
জিলহজ মাস বছরের সম্মানিত চার মাসের একটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।’ (সুরা তাওবা: ৩৬)