বাহরাইন জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে দেশটি শুক্রবার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে।
করোনা ভ্যাকসিন
এবার সম্ভবত অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে করোনার টিকা দেয়ার কাজ। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়ার জন্য আমেরিকায় আবেদন জানিয়েছে। অনুমতি পেলেই তারা টিকা দেয়া শুরু করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ফাইজার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরিবহন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই কাজটি করছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স।
‘করোনা গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায় বলা মুশকিল; তবুও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছেন। বৈশ্বিক এ মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে।
বাংলাদেশকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ইমিউনাইজেশনে অর্থায়ন করা দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি। একজন মানুষ দুই ডোজ করে এই ভ্যাকসিন পাবেন। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১৩৮ থেকে ১৭০ টাকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ঔষধ কোম্পানী ফাইজার ও তার অংশীদার বায়োটেক তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে। একে কনোনাভীত ও প্রায় অচল হয়ে পড়া বিশ্বের অর্থনীতি থেকে মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ভ্যাকসিন এলেই করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রেহাই মিলবে না। সোমবার সতর্ক করে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস। তার সতর্কবাণী, ভ্যাকসিন এলেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে বা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে যাওয়া যাবে, এমনটা আশা করা উচিত নয়। তবে কীভাবে স্বস্তি মিলতে পারে, সেই পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে প্রথম পর্যায়ে করোনার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক সই শেষে এতথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কোম্পানির ভ্যাকসিনকে তাদের তালিকাভুক্ত করেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাজারা আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গ্লোব বায়োটেক।
দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চারটি দেশে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।