খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ছাটাই করে চালের অপচয় করা হচ্ছে। এতে পুষ্টিমানও কমে যাচ্ছে। জনসাধারণকে পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে অনিরাপদ খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সফল দেশের নাম বাংলাদেশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে জনসংখ্যার বিবেচনায় অবস্থান আরো উপরে।
খোলা বাজার থেকে চাল কিনে তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ছয়টি বৃহৎ শিল্পগ্রুপকে দায়ী করেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি অর্থবছরে দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনও আশঙ্কা নেই। তিনি আজ সংসদে জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের কোনও ঘাটতি ছিল না। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও ঘাটতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । তবে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিনি এখন নিজ বাসায় আইসুলেশনে আছেন।
কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খাদ্য মজুত বাড়াতে এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করেছে সরকার।’
নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরনির্ভরতা কমাতে সরকারি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় তিনি প্রণোদনা নিয়ে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।