ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের পদাতিক বাহিনী ট্যাংকের ছত্রছায়ায় স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের ‘নির্মূল’ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।
গাজা
পুরো গাজা উপত্যকায় হামাসের ৩০০ মাইলের সুড়ঙ্গ ফাঁদ! মুখে যাই বলুক ভেতর ভেতর ইসরাইলের বড় ভয় এই সড়ঙ্গ (টানেল পথ)। সমরবিশারদদের ধারণা, এই টানেল আতঙ্কেই ৭ দিনেও গাজায় স্থল হামলা চালাতে সাহস পায়নি ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে অঞ্চলটির ক্ষমতাসীন স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এর অংশ হিসেবে ১০ লাখ রিঙ্গিত (২ লাখ ১২ হাজার ডলার) সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাম্বরি আবদুল কাদির।
ইসরাইল আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস গাজা আক্রমণে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে একটি মানবাধিকার সংস্থা।
জাতিসংঘ বলেছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ইসরাইলের ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তেতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, হামাসকে চূর্ণ করে গাজাকে বিশ্বের বৃহত্তম কবরস্থানে পরিণত করুন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলিরা চালাচ্ছে তান্ডব। গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর যত হামলা তারা করেছে সেসবের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে এবারের বিমান হামলা।
গাজা উপত্যকায় গত শনিবার থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার ১১ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের পাঁচ সদস্যও নিহত হয়েছেন।